তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর উপজেলার কলমা ইউপির চন্দনকোঠা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার পারভেজ হয়েছেন সম্পাদক একই স্কুলের সহকারী হিসাব রক্ষক তানভীর রেজা হয়েছেন ইউপি সভাপতি। তবে প্রধান শিক্ষক কলমা পূর্ব আ”লীগের সম্পাদক ও তানভীর সেচ্ছাসেবকলীগের ইউপি সভাপতি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে প্রধান শিক্ষক মাত্র কয়েকটি ওয়ার্ডের আর সহকারী হিসাব রক্ষক পুরো ইউপির, তাহলে কে কার চেয়ে রাজনৈতিক মাঠে জোর ক্ষমতাবান হতে পারে এমন প্রশ্ন ইউপির তৃনমূল নেতাকর্মীর। এক কলমা ইউপিতে এক স্কুলের দু নেতা নিয়েও বিব্রত তৃনমূল। তাহলে কি চন্দনকোঠা স্কুল রাজনীতির বিদ্যালয়ে পরিনত হয়ে পড়েছে। একজন প্রধান শিক্ষক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করবেন নাকি রাজনীতি করবেন, আর সহকারী হিসাব রক্ষক স্কুল নিয়ে হিসেব করবেন নাকি পুরো ইউপির দায়িত্বের হিসেব নিকেশ করবেন। তাদের তো চাকুরীর করার জন্য সময় আছে বলে মনে হয় না।
জানা গেছে, গত ১১ জুলাই মঙ্গলবার উপজেলার কলমা ইউনিয়ন আ”লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে কলমা ইউপিকে পূর্ব পশ্চিম দু’ভাগে বিভক্ত করে কমিটি ঘোষনা করা হয়। পূর্বের কমিটিতে সম্পাদক করা হয় চন্দনকোঠা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে। তিনি জামায়াত নেতার ভাই, এক সময় আ”লীগ বিরোধী ছিলেন বলেও একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
এদিকে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে কলমা ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে চন্দনকোঠা স্কুলের অফিস সহকারী তানভীর রেজাকে ইউপি সভাপতি করা হয়।
ইউপির একাধিক নেতারা জানান, কলমা ইউনিয়ন আ”লীগকে মনগড়া ভাবে বিভক্ত করে কমিটি দেয়া হল। আর সেচ্ছাসেবক লীগকে অবিভক্ত রেখে কমিটি দেয়া হয়েছে। এসব কি প্রকৃত রাজনীতি হচ্ছে নাকও বানিজ্যিক রাজনীতি করা হচ্ছে। আমাদের তো মনে হয় বানিজ্যিক রাজনীতি চলছে কলমা ইউপিতে। বিগত ২০০১ সাল থেকে অদ্যবদি কলমা ইউপিতে আ”লীগের চেয়ারম্যান। ২০০১ সালে আ”লীগ থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও কারচুপি করে বিএনপি জামাত ১ ভোটে জামাত নেতা রমজানকে চেয়ারম্যান ঘোষনা করা হয়। ২০১১ ও ২০১৬ সালে তরুন উদীয়মান যুবলীগ সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। গত ২০২১ সালে বর্তমান আ”লীগ সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপনকে নৌকা প্রতীক দেয়া হয়। কিন্তু তিনি এতই জনবিচ্ছিন্ন ছিলেন যে আ”লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী বাবু চৌধূরীর কাছে বিপুল ভোটে শুধু পরাজিত না জামানত হারায়। আর তার হাতে যদি দলের চাবি কাঠি থাকে তাহলে কতকি অপেক্ষা করছে সামনে। যাকে উপজেলা আ”লীগের সম্পাদক করা হয়েছে তিনি তানোর পৌরসভায় ১৯৯৯, ২০০৪ ও ২০১১ সালে পরাজিত হন। দুই জনবিচ্ছিন্ন নেতার হাতে দলের চাবিকাঠি। আগামীতে কি হবে হাড়েহাড়ে টের পাবেন মহোদয়। এদিকে চন্দনকোঠা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাত্র ৪ টি ওয়ার্ডের সম্পাদক আর অফিস সহকারী পুরো ইউনিয়নের। তাহলে তো তিনি প্রধান শিক্ষকের চেয়ে রাজনীতির দিক দিয়ে বড় নেতা। এমনিতেই মানেনা আর পদ পাওয়ার পর তো কি হবে বোঝাই যাচ্ছে। এখন শিক্ষকরা রাজনীতির উপর ভর করে চলছেন। যার জন্য শিক্ষারও অবস্থা হযবরল।
Leave a Reply